তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘দেশের ইতিহাস ও স্বাধীনতার সাথে ফুটবল ক্রীড়াঙ্গন একাত্ম হয়ে মিশে রয়েছে। একাত্তরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ভারতে ম্যাচ খেলে মুক্তিযুদ্ধে অর্থযোগান দিয়েছিল। স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েই আমাদের ফুটবলে নতুন করে জোয়ার আনতে হবে।’
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর ডিআইটি এভিনিউয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন মিলনায়তনে ক্রীড়াসাংবাদিক মাসুদ আলমের ‘ফুটবলের গল্প, ফুটবলারদের গল্প’ গ্রন্থের রঙিন দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
সাবেক স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কৃতি অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনসহ ক্রীড়াঙ্গন প্রতিনিধিদের এদিনের আসরে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের সকলে যার যার জায়গা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছে।’
‘শিক্ষক তার ক্লাসে, কবি তার কলমে, গেরিলাযোদ্ধা তার আক্রমণে, ফুটবলার তার খেলায়, কৃষক তার জমিতে, বৈমানিক তার বিমানে, নাবিক তার জাহাজে -এমন করে দেশের সকল মানুষ স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান রেখেছে’ উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সেই ইতিহাস জড়ানো সকল বিষয়ই যতেœর দাবিদার। ফুটবলও এর অংশ।’
‘সবচেয়ে কম খরচে যে অনন্য ক্রীড়া সারা দেশের মানুষের জনপ্রিয়, তা ফুটবল। তাই ফুটবলে মন্দাভাব থাকা যাবেনা, উত্তরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে’, বলেন সাবেক কৃতি ফুটবলার ইনু।
বইটির লেখক মাসুদ আলমের প্রশংসা করে মন্ত্রী বিগত ছয় দশকের একশ’ ফুটবলারের ডায়েরিস্বরূপ এ গ্রন্থটি সকলকে পড়ে দেখার অনুরোধ জানান।
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি এসময় স্বাধীনতাপূর্ব জাতীয় ফুটবল দলে গোলরক্ষক হিসেবে নিজের খেলাকালের স্মৃতিচারণ করে স্টপার ও মধ্যমাঠের খেলোয়াড় জাকারিয়া পিন্টুর দুর্দান্ত দক্ষতার কথা ও কাজী মো. সালাউদ্দিনের জনপ্রিয়তার কথাও স্মরণ করেন।
‘ফুটবলের গল্প ফুটবলারদের গল্প’ বইটির সাদা-কালো প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। বইটির লেখক মাসুদ আলম বলেন, এ প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীদেরকে আমাদের অম্লান তারকাদের সাথে পরিচয়ের জন্যই এ প্রয়াস।