করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।এই সময়ে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬১১ জন নতুন রোগী।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, নতুন সাতজন নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় ২৯ হাজার ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার ৯ হাজার ৫৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।তাদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ১০১ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯০ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ১১ হাজার ৩৬৭ জন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত ২ হাজার ২৮৫ জনের মধ্যে ৯৫৮ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। দেশের মোট ৫৬টি জেলায় গত এক দিনে নতুন রোগী ধরা পড়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু বেশি না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।