কক্সবাজারের রামুুতে ‘পারিবারিক কলহের জেরে’ শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার পর ছয় টুকরা করে মাটিচাপা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের পুত্রবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
রামু থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হোসাইন জানান, রোববার সন্ধ্যায় রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী হাজিপাড়া থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মমতাজ বেগম (৬০) রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী হাজিপাড়া মৃত গোলাম কবির। ঘটনায় জড়িত সন্দেহজনক আটক রাশেদা বেগম (২২) নিহতের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীরের স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাতে আনোয়ারুল বলেন, শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগমের সঙ্গে পুত্রবধূ রাশেদা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো।
মমতাজ বেগমের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে চাকুরি করেন। শুক্রবার বিকালে আলমগীর চাকুরিতে যান। তিনি রাতে বাড়ীতে ফিরেননি।
” নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে মমতাজ বেগমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিলেও তার সন্ধান পাননি। এ ব্যাপারে তারা বিষয়টি মোবাইল ফোনে কল করে মোহাম্মদ আলমগীরকে অবহিত করেন। ”
ওসি বলেন, “রোববার সকালে চাকুরি থেকে ফিরে মোহাম্মদ আলমগীরও বিভিন্ন স্থানে মায়ের খোঁজ নিয়ে মায়ের সন্ধান পাননি। এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে কথাবার্তায় অসংলগ্নতা পেলে সন্দেহ জাগে। এতে বসত ভিটের বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করতে থাকে।”
“এক পর্যায়ে বাড়ীর নলকূপের পাশে নতুন খনন করা মাটির স্তুপে রক্তের দাগ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাটি খুঁড়ে মমতাজ বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার সন্ধ্যার পর পূর্ব কলহের জেরে পুত্রবধূ রাশেদা বেগম শ্বাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ”
আনোয়ারুল জানান, মৃতদেহটি মাথা, দুই হাত ও দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে পুলিশ আটক করেছে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।