ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়েছেন দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি। এসব খেলাপের বেশির ভাগ ইচ্ছাকৃত এবং অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। ঋণখেলাপি এসব রাঘববোয়াল এতই প্রভাবশালী যে, আইনি ব্যবস্থা নিয়েও তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকা আদায়ে প্রয়োজনে এসব খেলাপির সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাধারণ মানুষ ব্যাংকে যে আমানত রাখছেন, তার একটা অংশ নিয়ে যাচ্ছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। তা ফেরতও দিচ্ছেন না। এতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, যা ব্যাংক খাতের জন্য একটা বড় সমস্যা। তারা বলছেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে। দু-এক জন ঋণখেলাপির শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসাবে গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে শীর্ষ ২০ গ্রহীতার খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সরকারের হিসাবে শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় রয়েছে সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি, খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৬৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৫২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিমেক্স ফুটওয়্যারের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। রাইজিং স্টিল কোম্পানির খেলাপি ৯৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্সের খেলাপি ৯৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যারের খেলাপি ৮৭৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ক্রিসেন্ট লেদারসের খেলাপি ৮৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমসের খেলাপি ঋণ ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সাদ মুসা ফেব্রিকসের খেলাপি ঋণ ৭৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।বিস্তারিত