ফ্রান্সে গত মাসে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গার ঘটনায় ৭০০ জনের বেশি মানুষকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী এরিক দিপোঁ-মোরেত্তি এ তথ্য জানিয়েছেন।
দাঙ্গার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৭৮টি রায় দেওয়া হয়েছে। এসব রায়ে ৯৫ শতাংশ আসামি ভাঙচুর, চুরি, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার মতো ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এরিক বলেন, কারাবিধি মতে যাঁরা ছোট অপরাধে যুক্ত, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অবস্থায় সাধারণত সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গতিবিধি নজরে রাখতে একটি ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট পরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, জাতীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি ছিল।
এরিক এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর সাজা দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ বিচারকাজ চালাতে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও আদালত চালু রাখার ঘটনা ঘটেছে।
ফরাসিরা কেন বারবার প্রতিবাদ করে?
তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনার বিচারকাজ শেষ করায় উদ্বেগ জানিয়েছেন অনেকে। তাঁদের মতে, তাড়াহুড়ো করে বিচারকাজ শেষ করায় প্রথমবারের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিরাও কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশির গড় বয়স ১৭ বছর। অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তাদের বিচারকাজ চলছে শিশু আদালতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানাঁ বলেন, গ্রেপ্তার কিশোরদের ৬০ শতাংশের পূর্ববর্তী কোনো অপরাধের তথ্য নেই।
প্যারিসে বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা আদালতের
গত ২৭ জুন রাজধানী প্যারিসের নতেঁ শহরের একটি তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত কিশোর নাহেল এম। ওই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া চার রাতের দাঙ্গা সহিংসতায় রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ এলিট পুলিশ ও সাঁজোয়া যানসহ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৪৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের পর এটি ছিল ফ্রান্সে কোনো বড় নগর সহিংসতার ঘটনা।বিস্তারিত