আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রায় দৌরগোড়ায়। এখনও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দেশের প্রধান দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের প্রধান বিরোধী বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আদায় ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবিতে বিএনপি হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে। বিএনপি চায় রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে নভেম্বরের মধ্যেই আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান।
অন্যদিকে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রতিবাদে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগও। সংঘাত-সহিংসতা রোধে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ দলটির নেতাকর্মীরা।
মাঠের কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির অনড় অবস্থানে থাকায় দেশের রাজনৈতিক সংকট দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে। অন্যদিকে যেকোনো নৈরাজ্য ও অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় হার্ডলাইনে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজপথে দেখা দিয়েছে সংঘাত, সহিংসতার আশঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে দেশ সংঘাত-সহিংসতার দিকে এগুচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংর্ঘষের ঘটনার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। প্রায় নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ছে বিএনপি। এদিকে দলটির ডাকা দুই দিনের অবরোধের আগের রাতেই ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ও যাত্রাবাড়ির জনপদ মোড়ে বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন আরও নাশকতার আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস।
অন্যদিকে ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। গত কয়েকদিনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস সচিব আমিনুল হকসহ বহু কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল জেলে থাকলেও মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী শুধু কেন্দ্রীয় নেতারা নয়, চলমান গ্রেপ্তার অভিযানে বিএনপির বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল নেতারা গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন। সবশেষ গতকাল রাতে বাড্ডায় বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের বাকি নেতারা গ্রেপ্তার এড়াতে এখন এলাকা ছাড়া। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে বিএনপির ডাকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। দ্বিতীয় দফার এই অবরোধ চলবে আগামী সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। জানা গেছে, আজ রবিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষে একদিন বিরতি দিয়ে বুধবার থেকে আবারও দুদিনের অবরোধ দেয়া হতে পারে। আর ১২ই নভেম্বর থেকে বিএনপি বিরতিহীন কিংবা অসহযোগ আন্দোলনে যেতে পারে বিএনপি। এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের ক‚টনীতিকরা বারবার সংলাপ-আলোচনার তাগিদ দিলেও তাকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপিও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বহু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে এমন অবস্থার মধ্যেও একদফা দাবিতে রাজপথে কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি। শীর্ষ নেতাদের কারাগারে থাকা ও নেতাকর্মীদের আত্মগোপনে থাকায় চলমান আন্দোলন সফল হবে কি না, তা নিয়ে একধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তবে বিএনপি এই পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ মনে করছে না। দলটির নেতারা বলেছেন, বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি আছে। ধরপাকড়েও তাদের টলানো যাবে না। জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিজয় না আসা পর্যন্ত এক দফার আন্দোলন চলবে। নেতাকর্মী, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও সমমনা প্রত্যেকে সরকারের উস্কানিতে পা না দিয়ে কর্মসূচি সফলে ভূমিকা পালন করবেন।
বিএনপির নেতারা জানান, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড ও পরে ধরপাকড়ের দলের নেতৃত্বে ধাক্কা লেগেছে। এ জন্য আন্দোলনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রথমে এক দিন হরতাল, পরে দু’দফায় অবরোধ দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীকে দম দিতেই এ সপ্তাহে সর্বাত্মক অবরোধ থাকলেও মাঝে বিরতি দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। এর মাধ্যমে বিএনপির হাইকমান্ড আন্দোলনের নামে যে জনগণের জীবন-জীবিকা জিম্মি হয়নি, সে বার্তা দেবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিশ্বেও নিজেদের উদারপন্থি ভাবমূর্তি টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। তবে পরের সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে কঠোর আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা দলের শীর্ষ নেতারা। এ কৌশলের অংশ হিসেবে আগামী মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে পরের দু’দিন বুধ ও বৃহস্পতিবার সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর ১০ ও ১১ নভেম্বর বিরতি দিয়ে ১২ নভেম্বর থেকে টানা অবরোধ কিংবা অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা আসতে পারে।
বিকল্প নেতৃত্বের কাঁধে দায়িত্ব দিচ্ছে বিএনপি: সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সাংগঠনিক কমিটির দায়িত্বশীল নেতারা গ্রেপ্তার হওয়ায় তাদের স্থানে নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব দিতে শুরু করেছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পাশাপাশি আরও চারটি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে ভারপ্রাপ্ত নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক কারাগারে থাকায় ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল গ্রেপ্তার হওয়ায় সিনিয়র সহসভাপতি মোকাররম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল গ্রেপ্তার হওয়ায় ১ম যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু গ্রেপ্তার হওয়ায় ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজুকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন গ্রেপ্তার হওয়ায় সদস্য আব্দুস সালামকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করা হয়েছে। নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আরও তিনটি জেলায় ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এর আগেই ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান জেলে থাকায় তার জায়গায় ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়।
বিএনপির অবরোধের দুদিনই মাঠে থাকবে আ.লীগ: বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রতিবাদে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের নামে দলটি যদি কোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে তা কঠোর ভাবে প্রতিহত করবে ক্ষমতাসীন দলটি। রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি ও বিে গাভ সমাবেশ করা হবে। মূলত বিরোধীদের ফাঁকা মাঠে ছেড়ে দিতে চায় না আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, আজ এবং আগামীকাল অবস্থান কর্মসূচি, শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা মাঠে থাকবে। আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। সংঘাত-সহিংসতার মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে চায়। সেজন্য অগুন-সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, পেট্রোবোমা নিক্ষেপ, অফিস আদালত ভাঙচুরের মতো অপরাধে যুক্ত হওয়ার পথেই হাটছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপি যেন আন্দোলনের নামে এসব অপকর্মে যুক্ত হতে না পারে- সেজন্যই মাঠে থাকার পরিকল্পনা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের প গ থেকে। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে আলাদা দৃষ্টি রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি ধারাবাহিক ভাবে চলবে। দেশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে আওয়ামী লীগ সব সময় মাঠে থাকবে।
অবরোধের আগের রাতেই ঢাকায় তিন বাসে আগুন: আজ রবিবার থেকে বিএনপির ৪৮ ঘন্টা অবরোধকে সামনে রেখে গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীতে তিনটি যাত্রাবাহী বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত সাড়ে সাতটার দিকে এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকায় এলাকায় চাঁদনী চকের গেটের সামনে মিরপুর লিংক নামে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ওয়্যারলেস অপারেটর আব্দুস সামাদ আজাদ জানান, রাত সাড়ে ৭টায় এলিফ্যান্ট রোডে একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এর পাঁচ মিনিট পরই নিউমার্কেট এলাকায় দ্বিতীয় বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ির জনপদ মোড়ে একটি বাসে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় দৃর্বৃত্তরা।
এদিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আরেকটি যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যানের সামনে একটি বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৭টা ৪৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে বাসটি কোন পরিবহনের তা জানা যায়নি। বাসে কীভাবে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে তিনি, বাসে কেউ আগুন দিয়েছে নাকি অন্য কোনোভাবে লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।
বিএনপি নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স গ্রেপ্তার: বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর বাড্ডার বোনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডিবি কিংবা র্যাবের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেননি।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি শরীফুল আলমসহ ৫ জনকে ভৈরবের একটি বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। অন্যরা হলেন- বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান, সাইফুল, যে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে সেই বাড়ির মালিক মাযহারুল এবং শরীফুল আলমের গাড়ি চালক রতন। এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তেজগাঁওয়ের সাবেক কমিশনার আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমূল আহসানকে (সোহেল) গত শুক্রবার গভীর রাতে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।