বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আত্মবিশ্বাসী নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী এলাকায় সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসছে ইসি। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচনের পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ১৫ দিন মাঠে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা, নির্বাচনে পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণে কমিশন অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা নিয়েছে। ভোট কেন্দ্র খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি লাগবে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। এবারে স্মার্টফোনের মাধ্যমে কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের পোলিং সম্পর্কিত তথ্য ভোটাররা জানতে পারবেন। এ জন্য ডিজিটাল অ্যাপস চালু করেছে কমিশন। ইসি বলেছে, শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য কমিশন বিভাগীয় ও জেলা সফর করবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে নির্বাচন কশিমন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে সব অংশীজনের সহযোগিতায় ভোট সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে। ইতোমধ্যেই বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তাঁদের দায়িত্ব ও করণীয় সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে এবং এ জন্য ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। অচিরেই মাননীয় কমিশনারদের বিভাগ, জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বৈঠক, সম্ভাব্য প্রার্থী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার পরিকল্পনা রয়েছে। ‘সব দলের প্রতি আহ্বান থাকবে মতভেদ, মতানৈক্য নিরসন করে নির্বাচনে এসে ভোটারদের কাক্সিক্ষত প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে উৎসাহিত করুন’ সম্মানিত ভোটারদের প্রত্যাশাপূরণে সর্বদাই গুরুত্ব দিয়ে আসছে এ কমিশন এবং একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সর্বাত্মক সবকিছুই করব ইনশা আল্লাহ। এদিকে সংসদ নির্বাচনের তিন-চার দিন আগেই জেলায় জেলায় ব্যালট পেপার পৌঁছে দেবে নির্বাচন কমিশন।বিস্তারিত