নির্মাতাদের দাবি, এফডিসিতে তাঁরা শুটিং করতে তেমন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। কারণ এখানে ফ্লোর ও সরঞ্জামের ভাড়া বেশি। এ কারণেই একসময় চলচ্চিত্রের নির্মাণকাজে প্রাণবন্ত এই সংস্থাটি এখন প্রায় কর্মশূন্য, এমনটাই বলছেন নির্মাতারা। এফডিসির দাবি ভাড়ার হার যৌক্তিক। বিষয়টি তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
কমপক্ষে ২০০০ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত চলচ্চিত্র নির্মাণের সূতিকাগার খ্যাত ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা’ তথা এফডিসি চলচ্চিত্র নির্মাণকাজে উৎসবমুখর থাকত। কিন্তু পরবর্তীতে এই সালের মাঝামাঝি থেকে এখানে তেমনভাবে আর ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন-রোল’- এসব শব্দ শোনা যায় না। মানে চলচ্চিত্রের নির্মাণকাজ এখানে ক্রমান্বয়ে কমছে। এতে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির মূল্যবান সরঞ্জামাদি নষ্টের আশঙ্কায় পড়েছে। অথচ ২০১২ সালের পর ‘এফডিসির আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন প্রকল্প’-এর অধীনে এখানে অত্যাধুনিক ক্যামেরা, লাইটসহ নানা নির্মাণ সরঞ্জাম আনা হয়েছে। তারপরও কেন এখানে এখন চলচ্চিত্র নির্মাণকাজে খরা চলছে। এর জবাব দিয়েছেন কয়েকজন প্রখ্যাত নির্মাতা। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেছেন, এফডিসিতে শুটিং করতে গেলে খরচ বেশি। এখানে লাইট, প্লেস ভাড়া থেকে সবকিছুই বেশি। অথচ বাইরে শুটিং করলে দেখা গেছে সেখানে মাত্র ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে বাড়িঘর সবকিছু আছে, ইউনিটের লোকজনও থাকতে পারে। এফডিসিতে তো লোকজন থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই, এফডিসি কর্তৃপক্ষ তা করবেও না। এখন যেহেতু সিনেমা হল ও দর্শক কমে গেছে তাই চলচ্চিত্র নির্মাণ ব্যয়ও নির্মাতারা কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। এফডিসিতে শুটিং করতে গেলে প্রতিটি স্থানের আলাদা ভাড়া দিতে হয়। বাইরে করলে তার প্রযোজন হয় না। এখানে লাইট খরচ আছে। বাইরে রিফ্লেক্টর দিয়ে কাজ করা যায়।বিস্তারিত