অনলাইন ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, এর পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে আসলে কার কত দৌড় দেখি। জনগণ কাকে বেছে নেয় দেখা যাবে। যারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন তাদেরও বলব আসুন নির্বাচনে।’
আজ বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের পক্ষে থাকুন। না হলে আবার তারা দেশকে পিছিয়ে নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবাক লাগে আজ আন্তর্জাতিক মাধ্যম অনেক কথা বলে। আমার প্রশ্ন, যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা নির্বাচনকে কলুষিত করে তখন কোথায় ছিল তারা? তখন তো কিছু বলতে শুনিনি এই দেশগুলোকে। জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দখলকারীরা উর্দি খুলে হঠাৎ রাজনীতিবিদ হয়ে যায়। সুস্থ রাজনীতির সময় বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছিল, কিন্তু যখন তারা আবার সহিংসতার সেই পুরনো রূপে ফিরে গেল তখন তারা আবার অসন্তোষের সংগঠন হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিতি পেয়েছে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় দেশে গণতন্ত্র থাকুক এবং রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করুক। তবে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ সেই রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। সারাদেশে দলের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে বিএনপি।’
এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ। কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে তার পরিণতি ভালো হবে না।
প্রসঙ্গত, সকাল ১০টার পর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়। আজকের সভায় রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সংসদীয় আসনগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। টানা তিন দিন চলবে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা। আজকের পর ধাপে ধাপে বাকি বিভাগগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।