মাত্র এক হাজার ৬০০ টাকার জন্য বাবা-মায়ের একমাত্র শিশু সন্তানকে অপহরনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে এক পাষন্ড। অপহরনের চারদিন পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে কামরাঙ্গীরচরের একটি ফাকা যায়গা থেকে বস্তিবন্দি অস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৮ বছরের শিশু হৃদয় সানার লাশ। এই ঘটনায় ঘাতক ইয়াছিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কামরাঙ্গীর থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কামরাঙ্গীরচর এলাকার আলীনগর চান সাদেক মসজিদের পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে এলাকাবাসী ওই বস্তাটি পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তার মুখ খুলে শিশুটির লাশ দেখতে পায়। তার মুখে কসটেপ লাগানো ছিলো।
তিনি আরো জানান, হৃদয় তার পরিবারের সাথে লালবাগের শহীদনগর ১ নং রোডের আবু মিয়ার বাড়ি বসবাস করতো। গত ২৬ জানুয়ারী বিকেলে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। এই ঘটনায় তার বাবা রমজান আলী লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন।
পুলিশের লালবাগ জোনের এডিসি কামাল জানান, ঘটনার পর ঘাতক ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ইয়াছিন পুলিশকে জানিয়েছে, ‘শিশু হৃদয়ের বাবা রমজান আলীর কাছে ইয়াছিনের এক হাজার ৬০০ টাকা পেতো। ওই টাকার সে জন্য সে রমজানকে চাপ দিয়ে আসছিলো। কিন্তু রমজান টাকা দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয় সে। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয় রমজানের একমাত্র সন্তানকে অপহরন করে টাকা আদায় করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৬ জানুয়ারী হৃদয় খেলতে গেলে তাকে খাবার কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপরহরন করে। কিন্তু সন্ধার পরই হৃদয় মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কান্না শুরু করে। এক পর্যায়ে ইয়াছিন তার মুখ চেপে ধরে কসটেপ লাগিয়ে দেয়। এসময়ই শ্বাসরোধে হৃদয়ের মৃত্যু হয়। পরে একটি বস্তা সংগ্রহ করে তাতে লাশ ভরে কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি ফাঁকা যায়গায় ফেলে আসে। তিনি আরো বলেন, ইয়াছিনকে আরো ব্যপক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।