আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে ব্যাপকভাবে সক্রিয়। জনমত প্রভাবিত করে নিজেদের পক্ষে টানতে দুই দলই নিজেদের কনটেন্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রোফাইল, গ্রুপ ও নানা পেজ সমন্বয়ের মাধ্যমে তারা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করছে।
তবে ফেসবুকে অনুসারী আর কৌশলের দিক থেকে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ বেশ এগিয়ে। তারা কনটেন্ট কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে পরে তা বিভিন্ন গ্রুপ, প্রোফাইল ও পেজে ছড়িয়ে দেয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মাসে ৪ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। গবেষকেরা প্রায় পাঁচ লাখ ফেসবুক পোস্ট সংগ্রহ করেন। এসব পোস্টের অনুসারী ছিলেন ১ কোটি ৪৪ লাখ ব্যবহারকারী। পোস্টে এনগেজমেন্টের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৭৫ লাখ। গবেষকেরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৬০০টির বেশি ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ যাচাই করেন। তাঁরা গভীরভাবে বিশ্লেষণের জন্য এমন সব পেজ ও গ্রুপ বাছাই করা হয়েছিল, যেগুলোর ন্যূনতম ৫০০ অনুসারী আছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের বার্তা ছড়িয়ে দিতে আন্তসংযুক্ত নেটওয়ার্কগুলোকে কাজে লাগায়।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে ব্যাপকভাবে সক্রিয়। জনমতকে নিজেদের পক্ষে টানতে ফেসবুকে আধেয়র লড়াইয়ে নেমেছে দুই দল। স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনফরমেশন রিসার্চ ল্যাবের (ইনফোল্যাব) এক বিশ্লেষণে এমনটা উঠে এসেছে। ১০ গবেষক দুই দলের নানা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। সম্প্রতি এটি ইনফোল্যাব ডট টেকগ্লোবালইনস্টিটিউট ডটকম-এ প্রকাশিত হয়েছে।
বিএনপির আগে ফেসবুকে আওয়ামী লীগ
বাংলাদেশে গণ-আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালে সামরিক শাসনের অবসানের পর থেকে রাজনীতিতে আধিপত্য ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এক দল ক্ষমতায় থাকলে আরেক দল বিরোধী দলে ছিল। রাজনৈতিক সহিংসতার জেরে ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। তাদের অধীনে নির্বাচনে ২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তখন থেকে দলটি টানা ক্ষমতায় রয়েছে।
বিরোধী দল বিএনপি নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করছে। তাদের অনেক শীর্ষ নেতা অসুস্থ, নির্বাসিত বা কারারুদ্ধ। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপির প্রায় ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর প্রায় অর্ধেকই অসংখ্য মামলায় জর্জরিত।বিস্তারিত