রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট করে রমজানের পণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। ফলে প্রতিবারের মতো এবারও গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ এখনই না নিলে সিন্ডিকেটের কাছে আবারও নাজেহাল হতে হবে ভোক্তাদের। তাই অবৈধ মজুতদারের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর কোনো বিকল্প নেই। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রমজানের আগে সব নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেওয়া হবে। এবার রমজান উপলক্ষে খাদ্য মজুত যথেষ্ট রয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। রমজানের আগেই ভারত বাংলাদেশে চিনি ও পিঁয়াজ রপ্তানি করবে। ভারত থেকে অতি শিগগির ২০ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হবে। আগে যে শুল্ক ছিল এখন তা অনেক কমিয়ে আনা হবে। এ ছাড়া ব্রাজিল ও বিভিন্ন দেশ থেকে চিনিসহ পণ্যসামগ্রী আসছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাজার পর্যবেক্ষণসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও রোজার বাজারে পণ্যমূল্য অনিয়ন্ত্রিতই থেকে যাচ্ছে। রমজান ঘনিয়ে এলেই একশ্রেণির ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তা সুফল আনে না। চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিন সব ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও নানা কারণ দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয় অসাধু সিন্ডিকেট। বৃষ্টি হলেও দাম বাড়ে, না হলেও দাম বাড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম কিংবা বেশি যা-ই হোক না কেন, অসাধু সিন্ডিকেট দাম বাড়ায় ইচ্ছামতো। রমজানে মানুষের নির্বিঘ্ন সিয়াম সাধনার স্বার্থে দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে।বিস্তারিত