ইরান কতটা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছেছে- এই প্রশ্নটিই এখন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক দ্বিধা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। বিশেষ করে ইসরাইলের সামরিক অভিযানে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে। এই ইস্যুতে মার্কিন নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও, তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার শীর্ষ উপদেষ্টাদের মধ্যে স্পষ্ট মতবিরোধ সৃষ্টি করেছে। এটি আবার ২০০০-এর দশকে আরেক রিপাবলিকান হোয়াইট হাউসের সময় মধ্যপ্রাচ্যের আরেক সংকটকালীন বিতর্কের প্রতিধ্বনি তৈরি করছে। কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলন থেকে আকস্মিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার সময় এয়ারফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি তার জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডের মার্চ মাসের সাক্ষ্যকে সমর্থন করেন- যেখানে তিনি বলেছিলেন, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে না?
এ প্রশ্নে ট্রাম্পের উত্তর- আমি তার কথা কেয়ার করি না। তিনি আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে খুব কাছাকাছি রয়েছে। গ্যাবার্ড তার কংগ্রেস সাক্ষ্যে জানিয়েছিলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, ইরান ২০০৩ সালে স্থগিত হওয়া পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি পুনরায় শুরু করেনি, যদিও তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। ট্রাম্পের মন্তব্যের পর গ্যাবার্ড বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির উচ্চমাত্রাই প্রমাণ করে যে তিনি ও ট্রাম্প একই উদ্বেগ শেয়ার করছেন। তবে, ট্রাম্প গ্যাবার্ডের সাক্ষ্যকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে হোয়াইট হাউসে ইরান-বিরোধীদের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিস্তারিত