আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় এবার নেপথ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেনদরবার করছে রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ পর্যন্ত কয়েকটি দলের সঙ্গে একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করে কমিশন। দল টু দল এবং দলের লিডারদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান ফর্মুলায়ও এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এজেন্ডা হিসেবে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি মৌলিক বিষয় রাখা হয়। কিন্তু নেপথ্যের এসব বৈঠকে ঐকমত্যের পরিবর্তে বিভেদ বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলেন, এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘সেইফ হাউস’ নামের স্থানগুলোতে। সাধারণত কমিশন দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এলডি হল কিংবা রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক করে। কিন্তু অনানুষ্ঠানিক বৈঠকগুলোর জন্য এ দুটি স্থান বাদ দেওয়া হচ্ছে।
কমিশনসংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। কিন্তু দূরত্ব কমছে না। বরং শেষ মুহূর্তে এসে ফারাক আরও বাড়ছে। আগে ছিল প্রস্তাব, এখন শর্তে পরিণত হয়েছে। প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির নানান বিষয়ে যোজন যোজন দূরত্ব। এ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কমিয়ে একটা ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আশা করি তারা এটা অব্যাহত রাখবে।’বিস্তারিত