পর্যটন ও স্ট্রিট ফুড একই সুতোয় গাথা। বেশিরভাগ পর্যটক সাশ্রয়ী মূল্যে রকমারি খাবারের স্বাদ নিতে স্ট্রিট ফুডকে বেছে নেন, তাই স্ট্রিট ফুডের সৌরভ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে যেমন পর্যটনকে বিকশিত করে তেমনি দেশের ইতিবাচক ভাবমূতি প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রাখে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আজ পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে বিটিবি ও পর্যটন বিষয় ম্যাগাজিন ‘পর্যটন বিচিত্রা’ আয়োজিত পরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্যসস্মত খাবার বিষয়ক সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন ঢাকাতে প্রতিদিন প্রায় ৬০ লাখ মানুষ স্ট্রিট ফুড গ্রহণ করছেন। স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা একদিকে স্বল্পমূল্যে খাবার সরবারহ করেন অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশে নিরবে অবদান রেখে চলেছেন। তাই এই খাবার বিক্রেতাদেরকে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।
বিটিবির পরিচালক নিথিল রঞ্জন রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবিএম খুরশিদ আলম, বিপিসি’র চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাকের আহমেদ, পর্যটন বিচিত্রা সম্পাদক মহিউদ্দিন হেলাল প্রমুখ।
প্রায় ১০০ জন স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদেরও এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।