কর্ণফুলী উপজেলায় বড়উঠান মৌলভী বাড়ীতে সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র ব্যবস্থাপনায় প্রথমবারের মত পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ১৬ জুন শুক্রবার বিকালে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ্-নাত ও আযান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও ইফতার মাহফিল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান’র সভাপতিত্বে ও মিনহাজ উদ্দিন খান’র পরিচালনায় অনুষ্টিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ফটিকছড়ি সাবেক সাংসদ ও ওমান রাষ্ট্রদূত এবং উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট সমাজসেবক দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা কায়সারুজ্জামান খান ফারুক, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক লায়ন মোছলেম উদ্দিন খান এমদাদ, গাউছিয়া তাহেরিয়া তালিমুল মাদ্রাসার সহ-সভাপতি আসফাকউদ্দৌল্লা খান, যমুনা অয়েল কোম্পানী লিঃ’র দপ্তর সম্পাদক আবদুল মান্নান। আরো উপস্থিত ছিলেন খুরশেদুল আলম খান, মোঃ গোলাম ফারুক, ইউপি মেম্বার সাজ্জাদ হোসেন খান, শিক্ষানুরাগী কুতুবউদ্দিন খান, ব্যাংকার মোহাম্মদ জিয়াউল হক খান, কর্ণফুলী থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন খান, সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র সচিব রেজাউল হক খান, সাইফুল্লাহ খান, এরশাদ উল্লাহ খান, মোঃ মফিজুর রহমান চৌধুরী, তৌফিক আহসান বায়েজীদ, ব্যাংকার মেহেরাব হোসেন খান ও এহতেশামুল খান, মিজানুল হক খান, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য হেমায়েতুল ইসলাম খান, মাইমুনুল ইসলাম খান পলাশ, বদর উদ্দিন খান, সোহরাব উদ্দিন খান, মোঃ সরওয়ার, মোঃ এজাজ, মোঃ মনির, মোঃ রাব্বি, মোঃ দিদার, মোঃ সোহেব, মোঃ সোহেল, মোঃ জিহান, মোঃ রাকিব, মোঃ সজিব, মোঃ জাহেদ ও টিপু।
প্রধান অতিথি নুরুল আলম চৌধুরী বলেন-পবিত্র মাহে রমজান সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ মাস। রহমত ও মাগফেরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে আসে মাহে রমজান। রমজান মাস থেকে শিক্ষা নিয়ে তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করেন। তিনি এমন একটি মহান উদ্যোগ ও মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মোকাম্মেল হক খান’র ভূয়সী প্রশংসা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা এই ধরণের আয়োজন এক একটা মডেল হিসেবে কাজ করে। তিনি সৈয়দা হোসনে আরা আলম খান ফাউন্ডেশন ও এলাকাবাসীর দেয়াং পাহাড়ে মাইজভান্ডার রিসার্চ সেন্টার ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের যে দাবী তা সমর্থন করে ওলী আল্লাহদের নিদর্শন সংগ্রহ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করবেন।
সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান, বিশ্ব ওলী শাহেন শাহ হযরত জিয়াউল হক মাইজভান্ডরীর বাণী দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। হালাল খাও, নামাজ পড়, আল্লাহ আল্লাহ জিকির কর। সব সমস্যা মিটে যাবে। রমজান আমাদেরকে আত্মত্যাগ এবং আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয় এ মাসে আমরা ধনী-গরীব বৈষম্যরোধে এবং দারিদ্রতা দূরীকরণের শিক্ষা পায়। তিনি এলাকাবাসীর অনুরোধে প্রতি বছর মাহে রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ্-নাথ ও আযান প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন। তিনি আরো বলেন- মদীনাতুল আউলিয়া খ্যাত চট্টগ্রাম’র ঐতিহাসিক দেয়াং পাহাড়ে আউলিয়াদের নিদর্শন সংরক্ষণের আকুল আবেদন জানিয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, দেয়াং পাহাড়ে হযরত গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (প্রকাশ বাবা ভান্ডারী) সহ বহু ইসলামী সাধকের ধ্যানের স্মৃতি স্মারক অবস্থিত। ভবিষ্যত প্রজন্মের ইতিহাস জানার সুবিধার্থে, এলাকাবাসী ও আশেকানে মাইজভান্ডারী’র পক্ষে সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এ ঐতিহাসিক দেয়াং পাহাড় কে সংরক্ষণ করার জন্য আবেদন জানান। সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেয়াং পাহাড়ে মাইজভান্ডারী রিসার্চ সেন্টার ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ওয়াইজ বিবি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মৌলানা মোঃ জমির উদ্দিন, হাবিবুল হক খান (মাইনু), বোয়ালখালী বায়তুল করিম জামে মসজিদ’র খতিব হাফেজ মোহাম্মদ তনজির, আরপিডিএম’র পরিচালক মনছুরুল হক খান,
শুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াতকারীর মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করেন মোঃ খোরশেদুল আলম, ২য় মোঃ জিহান, ৩য় মোঃ সাজ্জাদ আলম ও মোঃ হামাস উদ্দিন, হামদ্-নাত ১ম স্থান অর্জন করেন মোঃ খোরশেদুল আলম, ২য় জাহিদুল ইসলাম, ৩য় আজিম উদ্দিন ও মোঃ সাইয়েম আযান প্রতিযোগিতায় ১ম মোঃ আজিম উদ্দিন, ২য় খোরশেদ আলম, ৩য় মোঃ বোরহান উদ্দিন ও মোঃ জিহান। পুরস্কার বিতরণ শেষে ইফতার মাহফিলে সকল মানব জাতির মঙ্গল এবং কল্যাণের জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।