ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে ফেসবুকের আগ্রহ

ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে ফেসবুকের আগ্রহ

ফেসবুক বাংলাদেশে ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে আজ সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ও বিটিআরসির মধ্যে বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠক এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: আফজাল হোসেন এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বক্তব্য দেন। বৈঠকে ফেসবুকের সিঙ্গাপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি সাবনাজ রশিদ দিয়া, হেড অব কানেকটিভি টম সি, ভার্গিস ও কানেকটিভিটি এফেয়ার্স কর্মকর্তা তাহানি ইকবাল ফেসবুকের প্রতিনিধিত্ব করেন। বৈঠকে বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাসিম পারভেজ বাংলাদেশের টেলিকমখাতের অগ্রগতির চিত্র উপস্থাপন করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের টেলিকম খাতের সার্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন ডিজিটাল সংযোগ খাত বিনিয়োগের একটি থ্রাস্ট সেক্টর। আমাদের ডিজিটাল অবকাঠামো গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়-এর দিকনির্দেশায় যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, কোভিডকালে দেশের মানুষের অচল জীবনযাত্রাকে ডিডিটাল সংযোগের অসামান্য অগ্রগতির কারণে সচল রেখেছে।
২০১৮ সালে বার্সিলোনায় মোবাইল কংগ্রেসের সাইড লাইনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে বৈঠকটি ছিলো খুবই ফলপ্রসূ। তারই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকের সাথে সম্পর্কের বরফগলা শুরু হয়। শক্তিশালী নেটওয়ার্ক যত সম্প্রসারিত হবে ফেসবুকের ব্যবহারকারী তত বাড়বে, এতে ফেসবুকও অনেক বেশি লাভবান হবে। তিনি বাংলাদেশে ফেসবুকের বিনিয়োগ ক্ষেত্র ও এই বিষয়ক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তারা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে এক্সপ্রেস ওয়াইফাই, টেরাগ্রাফ, ওপেন ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক এবং জিরো রেটেট প্রোগ্রামের কার্যক্রম তুলে ধরেন। বর্তমানে দেশে ৪ কোটি ৮০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। ব্যবহারকারি দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশ দশম।

আন্তর্জাতিক তথ্য প্রুযুক্তি