নিজস্ব প্রতিবেদকএকজন ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা সম্ভব। অথচ একটি চক্র অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসায় টেলিটকের ৩ হাজার ৪০০ সিম ব্যবহার করে আসছিল। এর সঙ্গে জড়িত সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। তাদের যোগসাজশে ভুয়া নিবন্ধনের মাধ্যমে চক্রটি এসব সিম সংগ্রহ করেছে। প্রথমবার নিবন্ধিত সিমের বায়োমেট্রিক নমুনা বিভিন্ন সময় অ্যাকটিভেশন অ্যাপে সন্নিবেশের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয় একাধিক সিম। এসব সিমের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, একজন গ্রাহক এক দিনেই ১৪ বার একই রিটেইলার পয়েন্টে গিয়ে বায়োমেট্র্কি নমুনা দিয়ে গভীর রাতেও (রাত ৩টা ১৮ মিনিট) দোকান খুলে আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম সংগ্রহ করেছে, যা অবাস্তব। শুধু তা-ই নয়, একটি সিমে একই সঙ্গে ৮০টির বেশি মোবাইল নম্বর নেটওয়ার্কে যুক্ত ছিল, যা স্বাভাবিক নয়। অর্থাৎ এসব সিম দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করা হয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে খোদ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তদন্ত প্রতিবেদনে। ২৩ জুন প্রতিবেদন জমা দেয় বিটিআরসির তদন্ত কমিটি। এতে ছয় দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিটিআরসির অবৈধ ভিওআইপি অভিযানে টেলিটকের ৩ হাজার ৪০০টি সিম একসঙ্গে জব্দ করা হয়। তা নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আর টেলিটকের কারা ভিওআইপি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করতে টেলিটক কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানের সময় যে মামলা হয়েছে, সেগুলোর তদন্তকাজ চলছে।বিস্তারিত