সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকলে বন্ধ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; শিক্ষামন্ত্রী

সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকলে বন্ধ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘কোথাও যদি মনে করি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি প্রয়োজন হয় বন্ধ করে দেব। কোনো দ্বিধা করব না। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও সে রকম পরিস্থিতি তেমনভাবে হয়নি। যদি কোথাও হয়, নিশ্চয়ই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

গতকাল শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী জানান, মধ্য নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষা এবং ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি দেখছি, প্রায়ই আমাকে লিখে পাঠাচ্ছে যে এই স্কুলে এতজন শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত, ওই স্কুলে এতজন আক্রান্ত। আমরা প্রতিটি জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে অনুসন্ধান করছি। তবে আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও সত্যতা কিন্তু পাইনি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে সংক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে। সেগুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, তারা সেগুলোর ব্যাপারে দেখছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

মানিকগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী শুধু ১৫ সেপ্টেম্বর একবার স্কুলে এসেছিল, এর প্রায় সাত দিন পর তার করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া যায় এবং সে মৃত্যুবরণ করে। আমরা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি বলেছেন, ও এক দিনই স্কুলে এসেছিল। তখন তার কোনো ধরনের উপসর্গ ছিল না। যে কারণে সেখানে সবার আর পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই।’

প্রাক-প্রাথমিকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের বাচ্চাদের এই মুহূর্তে আনতে চাচ্ছি না। তারা এখন বাড়িতে থাকুক। আমরা আবার সিদ্ধান্ত নেব। তিন সপ্তাহ পার হোক তারপর আবার সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়।’

দীপু মনি বলেন, ‘যদিও (সংক্রমণ হার) ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, তার পরও কিন্তু অতিমারি চলমান সারা বিশ্বেই। কাজেই আমাদের তীক্ষ নজর রাখতে হবে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে, বাড়িতেও অসুস্থ হতে পারে, যাতায়াতের পথে অসুস্থ হতে পারে। এমনকি তাদের দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সংক্রমণ ঘটতে পারে, সেটি যেন না ঘটে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিযোগ আসামাত্রই বা কোনো তথ্য পাওয়ামাত্র আমরা স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জনের অফিস, সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় আমরা সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

শিক্ষা