রাজধানীতে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুসে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ সকালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বর থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়। আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজ ভাণ্ডারীয়ার ব্যবস্থাপনায় আজিমুশ্শান জশনে জুলুসে অংশগ্রহণকারীরা কলেমা খচিত পতাকা, জাতীয় পতাকা ও নানা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন বহন করে নারায়ে তকবির, নারায়ে রেসালত স্লোগানে স্লোগানে রাজধানীর রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের শান্তি মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজ প্রেসিডেন্ট ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম হযরত শাহ্সূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।
তিনি বলেন, মন্দিরে পবিত্র আল কোরআনের অবমাননা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় কাজ। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ইসলামের আদর্শ হতে পারে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনো অন্য ধর্মের ওপর আঘাত সমর্থন করে না। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে অমুসলিমরা মুসলমানদের নিকট আমানত স্বরূপ।
আর এটাই হলো প্রিয়নবীর (দ.) শিক্ষা। মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির শিক্ষাই ইসলামের আসল সৌন্দর্য্য। ইসলামের নামে যারা সহিংসতায় জড়ায় তারা প্রকৃত পক্ষে ইসলামের মর্মার্থ ও মূল কথা বুঝতে ব্যর্থ।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি। এসময় তিনি বলেন, দেশে যারা ধর্মের নাম করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। ধর্মীয় উন্মাদনা না ছড়িয়ে মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে জশনে জুলুস ইসলামী সংস্কৃতির আজ অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন সত্যিকার মুসলমান কখনো অন্যের ক্ষতি করতে ও সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদে জড়াতে পারে না। আওলীয়া সাধক ও দরবেশদের এই দেশে জঙ্গিবাদিদের ঠাঁই হবে না। সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। এদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক ও উদার। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের রুখে দিতে হবে।