শেখ সাবিহা আলম
আজ শনিবার মওদুত হাওলাদার বলেন, ’ফাইল হারিয়ে যাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি জিডি হয়েছে। আজ সচিবালয় বন্ধ। আগামীকাল থেকে তদন্ত শুরু হবে।’
তবে একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে, ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)র বিশেষ সুপার মো কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যান। সিআইডির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। জিডি করার ৪৮ ঘণ্টা পরও ফাইলগুলো কে সরাল সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি মন্ত্রণালয় বা পুলিশ কোনো পক্ষই।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো হারিয়ে যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২ এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার এবং আয়েশা সিদ্দিকা । ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল।
মন্ত্রণালয় যে জিডি করেছে তাতে বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২ টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই।
যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।
জিডিতে ১৭ টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, রিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথি।
এর বাইরেও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাদিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত সচিব শাহাদৎ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারছেন না।