সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এ ভাষণ তরুণ-যুবাদের থেকে শুরু করে এ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আহ্বান সেদিন এদেশের ডান-বাম রাজনৈতিক দল, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শিল্পী-গায়ক, সংস্কৃতিকর্মী, কৃষক-শ্রমিক সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। ৭ মার্চের ভাষণটিকে মূলত ৪টি ভাগে বিভক্ত করা যায়। প্রথম ভাগে ছিল বাঙালির নিপীড়নের ইতিহাস, দ্বিতীয় ভাগে পশ্চিম পাকিস্তানের দমননীতি, তৃতীয় ভাগে বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম এবং চতুর্থ ভাগে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
মন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর কাছে আমাদের ঋণ‘ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ফারজানা চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় -এটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। জাতীয় আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা, সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর, শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, দুঃস্থ খেলোয়াড় ও শিল্পীদের ভাতা প্রদানসহ সব গুরত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। একজন রাষ্ট্রনায়ক দূরদর্শী ও বিচক্ষণ হলেই কেবল যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নবগঠিত একটি দেশে এমন সুদূরপ্রসারী ও যুগান্তকারী পরিকল্পনা করতে পারেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।