ছুটি না বাড়িয়ে সশরীরে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করছে সরকার। মহামারি করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়া এবং শিক্ষার্থীদের এক ডোজ টিকা শেষ হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে শ্রেণি পাঠদান (ক্লাস) শুরুর পরিকল্পনা করছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর ছুটি আর না বাড়িয়ে সীমিত পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গণমাধ্যমকে জানান, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে এবং অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে ১৪ দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একবারে বন্ধ রাখা নয়। তবে দফায় দফায় আর ছুটি বাড়াতে চাই না।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী সংবাদিকদের বলেন, ‘অতিমারি এখনও চলে যায়নি। তবে এখন সংক্রমণ কমছে। আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ কমে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীসহ দেশের সব বয়সী ১০ কোটির বেশি মানুষকে এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার কমে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেন শেষ করা যায় সে প্রস্তুতি নেওয়া আছে। কিছু শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে প্রয়োজনীয় সময় আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণ হবে না। তারা ছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর দুই ডোজ টিকা নেওয়া ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর সরকার যেদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদানের নির্দেশ দেবে সেদিন থেকেই পাঠদান শুরু করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’