রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সুন্দর আগামীর জন্য পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন,‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল (৫জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে এ উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন,বিশ্বব্যাপী শিল্পায়ন ও নগরায়নের প্রভাবে দিন দিন পরিবেশ দূষণ বেড়ে চলেছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাবে জলবায়ুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
পরিবেশ দূষণের অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, সাশ্রয়ী মূল্য ও দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। পলিথিন বা প্লাস্টিক বর্জ্য মাটি, জলাশয়, নদ-নদী ও সমুদ্রকে দূষিত করছে, বাড়ছে মানব স্বাস্থ্যের ঝুঁকিও।
আবদুল হামিদ বলেন, ইউএন এনভায়রমেন্ট এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের স্লোগান নির্ধারণ করেছে ‘প্লাস্টিক পুনঃব্যবহার করি, না পারলে বর্জন করি’ এবং প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘আসুন প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি’- বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা অত্যন্ত সময়োপযোগি হয়েছে।
তিনি বলেন,প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে ক্রমেই প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। তাই এখন প্লাস্টিক বর্জ্যরে সঠিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। ইতিমধ্যে সরকার জাতীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় থ্রি-আর (রিডিউস,রিইউস ও রিসাইকেল) কৌশল গ্রহণ করেছে। পাটের উৎপাদনের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ধান, চালসহ আরও কয়েকটি পণ্য প্যাকেজিংয়ে পাটজাত সামগ্রী ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জৈব পচনশীল পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০১৮’র সফলতা কামনা করেন।