বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড আমদানির দায় পরিশোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে সাবসিডিয়ারি তিন কোম্পানির কাঁচামালের আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে প্রায় শতকোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে ২০২২-২৩ হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আয় বাড়লেও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে লোকসানে পড়েছে ডরিন পাওয়ার। একই অবস্থা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানিরও। সাবসিডিয়ারি ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি করা কাঁচামালে প্রায় ২৪ শতাংশ বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হওয়ায় শাহজীবাজার পাওয়ারও ব্যাপক লোকসানে পড়েছে।
বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও কাক্সিক্ষত নোট মার্কিন ডলার। আমদানি ব্যয়ের ধকল সামলাতে গিয়ে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। রিজার্ভ বাড়াতে ব্যাপক সংস্কারের শর্ত মেনে বিদেশি ঋণের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে সরকার। সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বাড়তি থাকায় গত এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২২ শতাংশের বেশি। কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, টাকার অবমূল্যায়নের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এলসি খোলার পর তা নিষ্পত্তি করতে গিয়ে অন্তত ২০ শতাংশ বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে। সাধারণত এলসি খোলা ও নিষ্পত্তিতে ৩ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। এ ব্যবধানের কারণেই বিনিময় হারে বড় লোকসান দিয়েছে পুঁজিবাজারের এ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো।
ডলার সংকটে শুধু ডরিন কিংবা শাহজীবাজার পাওয়ার নয়, রানার, ইফাদ, সিঙ্গার, জিপিএইচ ইস্পাত, বিএসআরএম লিমিটেড, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, এসিআইর মতো ব্র্যান্ড ভ্যালুর বড় কোম্পানিগুলোও শত শত কোটি টাকার লোকসান দিচ্ছে। বিনিময় হার, কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে মূলত উৎপাদনমুখী কোম্পানিগুলো মারাত্মক সংকটের মধ্যে পড়েছে। উৎপাদন ব্যয় ব্যাপক হারে বাড়লেও একই হারে পণ্যমূল্য বাড়াতে পারেনি কোম্পানিগুলো। বিনিময় হারের কারণে ইলেকট্রনিকস খাতের জায়ান্ট কোম্পানি ওয়ালটনের নিট মুনাফা ৯৭ শতাংশ কমে গেছে।বিস্তারিত