ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাতে ব্যবসা পরিচালনায় ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ ব্যবসায়ীকে নানা সময় ঘুস দিতে হয়। ব্যবসায়ীদের ৬০ দশমিক ১ শতাংশ রাজনৈতিক প্রভাব এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ চাঁদাবাজির শিকার। এসএমই খাতের দুর্নীতি নিয়ে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক রিপোর্টে এসব বিষয় উঠে আসে। মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি। আর এই দুর্নীতি কমলে এখানে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, সিজিএস চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও টিআইবির মহাসচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ডা. ফাহমিদা খাতুন এবং সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালেহ জহুর।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈশ্বিকভাবে যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনেও আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থানের কথা জানিয়েছি। আর বাংলাদেশে দুর্নীতি কমানো গেলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এ দেশ থেকে অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক অপরাধের মতো বিষয়ে দুই দেশের সরকার একসঙ্গে কাজ করছে। পিটার হাস বলেন, দুর্নীতি চিহ্নিত করে তা দমন করতে পারলে অর্থনীতির অগ্রগতি হবে। তার মতে, বাংলাদেশে দুর্নীতির লাগাম টানা হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবেন। এতে বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ।বিস্তারিত