আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে বিএনপির প্রচারণা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়েছে যে, বিএনপি এতদিন মিথ্যাচার করে আসছে। এই সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে তাদের যে অভিযোগ সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।’
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারলো কিনা, তার চেয়ে বড় কথা হলো গণতন্ত্র জয়লাভ করেছে। শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের ওয়াদা পূরণ করেছেন।’
গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হলে দেশের মানুষ যতোটা খুশি হতেন, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হওয়ায়। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই, জনগণকে ধন্যবাদ জানাই এবং বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানাই।’
গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রংপুরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এগুলোর মতো আগামীতে আরও চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনও একইভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
তিনি বলেন, দেশের একটি মহল দিন রাত শেখ হাসিনার দুর্নাম করে বেড়ায়। তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়। শেখ হাসিনা বলেছেন সহ্য করতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা দেশ দিয়ে গেছেন, আজ তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জালানি সংকট সারা বিশ্বের সংকট। শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে দেশের বাইরে গেছেন দুই দিনের জন্য আবারও কাতার গেছেন সেখানকার আমিরের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। দেশের জন্য জ্বালানি নিশ্চয়তা নিয়ে এসেছেন। কাতারের আমির আশ্বস্ত করেছেন যে, বাংলাদেশে জ্বালানির সংকট হবে না। তিনি নিজের জন্য যাননি তিনি গেছেন দেশের মানুষের জন্য। এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, গরিব মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, সাধারণ মানুষ যেন ভোগান্তিতে না পড়ে, নিত্য-পণ্য যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে পারে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর রাতে ঘুম নেই, নিজের ঘুমকে, আরামকে তুচ্ছ করে দেশের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন চান, নিজেদের পকেটের উন্নয়ন চান না। এই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যখন মির্জা ফখরুলরা গালিগালাজের ভাষায় কথা বলে, হত্যার হুমকি দেন, বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট পায়। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে তোমাদের ভোট চলে যাবে। আরও কমে যাবে। কম কমতে তলানিতে গিয়ে ঠেকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলব আপনারা কাজ করে যান। আমাদের মধ্যে কেউ খারাপ কাজ করলে তাকে সংশোধন করুন। তাকে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করুন। শেখ হাসিনার উন্নয়ন আর আমাদের নেতাকর্মীদের ভালো আচরণ, এ দুটা বিষয়ই নির্বাচনে জয় লাভের হাতিয়ার।’