নির্বাচনের আগে সচিবদের চুক্তিতে নিয়োগ বাড়ছে চুক্তিভিত্তিক সচিব রয়েছেন অন্তত ১৬ জন। পুলিশেও চুক্তিতে নিয়োগ। জনপ্রশাসনে আরেকটি বড় পদোন্নতিও আসছে।

নির্বাচনের আগে সচিবদের চুক্তিতে নিয়োগ বাড়ছে চুক্তিভিত্তিক সচিব রয়েছেন অন্তত ১৬ জন। পুলিশেও চুক্তিতে নিয়োগ। জনপ্রশাসনে আরেকটি বড় পদোন্নতিও আসছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল গত মাসে। তবে সরকার তাঁকে এক বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছে। আগামী বছরের মে পর্যন্ত তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে থাকবেন।

তপন কান্তি ঘোষসহ প্রশাসনে এখন বিভিন্ন পর্যায়ে চুক্তিভিত্তিক সচিব রয়েছেন অন্তত ১৬ জন। তাঁরা বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সচিবালয়ে আলোচনা আছে যে জাতীয় নির্বাচনের আগে সচিব পর্যায়ে আস্থাভাজন আরও কিছুসংখ্যক কর্মকর্তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আবার জনপ্রশাসনে আরেকটি বড় পদোন্নতি আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, জনপ্রশাসনে জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিব পদে কর্মকর্তা রয়েছেন ৭৯ জন। মাঝের কয়েক বছর জনপ্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কমে এসেছিল। বিশেষ করে নিয়মিত পদগুলোতে চুক্তিতে কম নিয়োগ দেওয়া হতো। কিন্তু নির্বাচনের বছরে এসে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাড়ছে।

কাউকে চুক্তিতে নিয়োগের ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এই শীর্ষ পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ কমে যায়। এ নিয়ে শীর্ষ পদ পাওয়ার প্রত্যাশায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। অন্যদিকে চুক্তিতে নিয়োগ করা কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতে সরকারের বাড়তি ব্যয় হয়।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, একেবারে অপরিহার্য না হলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া ঠিক নয়।

যেসব কর্মকর্তা চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ পাচ্ছেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দারুণ কিছু করেছেন, তা নয়; বরং কাজ চলছে গতানুগতিকভাবেই। জনপ্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় যোগ্যতা আসলে সরকারের ঘনিষ্ঠ থাকা। নির্বাচন ঘিরে সরকার কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। এ কারণেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আস্থাভাজন কর্মকর্তাকে চুক্তি ভিত্তিতে রাখা হচ্ছে। মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও রাখা হচ্ছে আস্থাভাজনদের।বিস্তারিত

জাতীয়