নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে র্যাবের হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন শনিবার দুপুরে কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মাহমুদুল আলম বাবুকে দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকায় আনার পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আবারও জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বাবুকে বকশীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
গ্রেপ্তার মাহমুদুল আলম বাবু সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বাবুর নির্দেশেই সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম।
এ সময় তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নাদিমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরো ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।