ভোট দিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড বাধ্যতামূলক নয়।
আজ সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সাধারণত ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড বাধ্যতামূলক নয়। ইভিএমের ভোট কেন্দ্রে স্মার্টকার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার নম্বর সাথে নিয়ে গেলে ভোটদান সহজ হবে। তবে স্মার্টকার্ড বাধ্যতামূলক নয়।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ভোটাররা চাইলে সঙ্গে মোবাইল ফোন বহন করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বন্ধ রাখতে হবে। ভোটাররা কোনোভাবেই বুথ ও কেন্দ্রে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের বাইরে এসে আবার তা ব্যবহার করতে পারবেন।
নির্বাচনে কোন শঙ্কা আছে কি-না জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোন শঙ্কা নাই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে।
তিনি বলেন, ভোটের দিন ইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো যান্ত্রিক যানবাহন চলবে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী, সরকারি গাড়ি, সেবা সংস্থা যেমনÑ ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র বহনকারী গাড়ি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভোট দেয়ার জন্য পোস্টাল ব্যালটের আবেদন করেছেন কিনা তা জানা নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বলতে পারবেন।
ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়ার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রেই ভোট গণনা করবেন। এ সময় প্রার্থীর এজেন্টরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার লিখিত ফলাফল সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করবেন। পরে এ ফলাফল তিনি সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছে দেবেন। তিনি তা রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। রিটার্নিং অফিসাররা তা ইসিতে পাঠাবেন। ইসির ফোয়ারা প্রাঙ্গণে স্থাপিত মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে। এ চত্ত্বরে ১০টি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল প্রদর্শন করা হবে।
সচিব বলেন, সারা দেশে ভোট কেন্দ্রের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার এলাকা, ভোট কেন্দ্র ও কেন্দ্রের নম্বর পাওয়া যাবে। শনিবার থেকে এ সেবা চালু হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পোলিং এজেন্ট সকাল ৮টার আগেই প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে তাদের নিয়োগপত্র দেখাবেন। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তাদের নিয়োগ দেবেন।