উদ্বোধনের অপেক্ষার প্রহর গুনছে দক্ষিণ এশিয়ার নদীর তলদেশের প্রথম টানেল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে যান চলাচলের এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা। সব ঠিক থাকলে ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু টানেল সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করবেন।
বঙ্গবন্ধু টানেলকে মনে করা হচ্ছে পদ্মা সেতুর পর দেশের যোগাযোগ খাতের দ্বিতীয় বিপ্লব। এ টানেলের কারণে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। টানেল দিয়ে দেশের নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর, মহেশখালীর অর্থনৈতিক হাব, বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক জোনসহ পুরো দেশের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজতর হবে। এতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিস্তৃত হওয়ার পাশাপাশি বিকশিত হবে পর্যটনশিল্প। বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ। অর্থনীতিবিদদের মতে, টানেল চালু হওয়ার কারণে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেল অত্যন্ত দূরদর্শী একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।’ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেলের সার্বিক কাজ বলতে গেলে শেষ পর্যায়ে। টানেলের কাজের অগ্রগতি নিয়মিত পরিদর্শন করে তদারক করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে সেতু বিভাগের সচিব এসে টানেল পরিদর্শন করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী টানেল উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। বিস্তারিত