আগের নির্দেশিকায় পরিবর্তন এনে নতুন ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইতোমধ্যে মোবাইল ফোন অপারেটরদের তা বাস্তবায়নের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মোবাইল অপারেটরদের ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ ও ১৫ দিন মেয়াদি ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ বন্ধের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। ১৫ অক্টোবর থেকে মোবাইল ব্যবহারকারীরা ৭ বা ৩০ দিন মেয়াদি ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ কেনার সুযোগ পাবেন। অনির্দিষ্টকাল মেয়াদে ডেটা প্যাকেজ কেনার সুবিধাও থাকছে।
অপারেটর যে প্যাকেজেই দিক না কেনো তার মেয়াদ হবে ৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড। আগে এটি ছিলো ৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন এবং ৩০ দিন। যেখানে ডেটা ভলিউম সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনাও ছিল।
একটি অপারেটরের নিয়মিত, বিশেষ, রিসার্চ ও ডেভেলমেন্ট, সব ধরনের ব্র্যান্ড (গ্রামীণফোন, স্কিটো, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক ইত্যাদিসহ যা আছে) মিলিয়ে প্যাকেজের সংখ্যা হবে ৪০টি। আগে এটি ছিলো ৮৫টি।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ কিনলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। এতে একই ভলিউম এবং একই কন্টেন্টের ৭ বা ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গ্রাহক ওই প্যাকেজ আবার কিনলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। ক্যারি ফরওয়ার্ড করা যাবে সর্বোচ্চ ৫০ জিবি ডেটা পর্যন্ত।
কমানো হয়েছে প্রমোশনাল এসএমএসের সংখ্যাও। আগে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪ টি এসএমএস দিতে পারত অপারেটররা, এখন দিতে পারবে ৩টি।
অপারেটররা ৩টি আলাদা ভলিউমের আনলিমেটেড প্যাকেজ অফার করতে পারবে। শুরুতে ২৫ জিবি, ৫০ এবং ৭৫ জিবি হবে। পরে বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে ভলিউম পরিবর্তন করা যাবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহক যেন স্বচ্ছন্দ্য সেবা পায় তাই নতুন করে ডেটা প্যাকেজ, মেয়াদসহ বিভিন্ন নির্দেশনা ঠিক করে দেয়া হয়েছে। আশাকরা যায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহক সন্তুষ্টিতে এটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
টেলিকমিউনিকেশন খাতের বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তা অধিকার সংস্থার মতে, এর মাধ্যমে ভোক্তাদের পছন্দের স্বাধীনতা সীমিত করা হলো। এই উদ্যোগটি তৃণমূল, নিম্ন-আয়ের ও তরুণদের ওপর আর্থিক প্রভাব ফেলবে এবং এর কারণে টেলিকম পরিষেবা, বিশেষত ইন্টারনেটের ব্যবহার কমবে।
তবে বিটিআরসি বলছে, তারা মোবাইল ব্যবহারকারীদের ওপর জরিপ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, গ্রাহকরাও অফার প্যাকেজ সীমিত করার পক্ষে। যদিও বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে মোবাইল অপারেটররা। তাদের মতে, বিটিআরসির জরিপে এমন ধরনের প্রশ্ন ছিল, যা উত্তরদাতাদের উত্তরকে প্রভাবিত করেছে।
গত ৩০ মে বিটিআরসির জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখা অনেক গ্রাহকও বলেন, তারা আরও প্যাকেজ চান, বিশেষ করে ওটিটি ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের জন্য।