আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে এবার প্রায় চার হাজার টন ইলিশ ভারতে রফতানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তবে এ ক্ষেত্রে সাতটি শর্ত মানতে হবে রফতানিকারকদের।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই অনুমোদন দিয়ে আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইলিশ মাছ রফতানির বিষয়ে পাওয়া আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্ত সাপেক্ষে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে তিন হাজার ৯৫০ টন ইলিশ ভারতের রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
দুর্গাপূজা সামনে রেখে গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে এক আবেদনে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়েছেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসে।
গত বছর পূজার সময় দুই হাজার নয় শ’ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে সে সময়ে রফতানি হয়েছে এক হাজার তিন শ’ টন। আগের বছরগুলোতেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। অনুমোদনের তুলনায় রফতানির পরিমাণ ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম।
রফতানিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া সাতটি শর্ত হলো- রফতানি নীতি ২০২১-২৪ বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রফতানি অনুমতিপ্রাপ্ত পণ্যের কায়িক পরীক্ষা যথাযথভাবে করতে হবে। প্রতিটি চালান জাতীয়করণ শেষে রফতানি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র export2permit@minicom.gov.bd ঠিকানায় ইমেইল করতে হবে। অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রফতানি করা যাবে না। প্রতিটি পণ্যচালান রফতানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ অটোমেটিক সিস্টেম ফর কাস্টম ডেটা (এএসওয়াইসিইউডিএ) ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রফতানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন।
এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনোরূপ বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।
সরকার প্রয়োজনে যেকোনো ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে পারবে। এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য না, অনুমোদিত রফতানিকারক ছাড়া সাব-কন্ট্রাক্ট রফতানি করা যাবে না।