মেসেজিং প্ল্যাটফরম (টেলিগ্রাম) অ্যাপে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ছবি শেয়ারের অ্যাপ-ইনস্টাগ্রামের আইডি হ্যাক করে ভুক্তভোগীদের ভয়ংকরভাবে ব্ল্যাকমেল করছে সংঘবদ্ধ চক্র। প্রতারক চক্রের কথা না শুনলে কিংবা প্রতিশোধ নিতে ভয়ংকর এই চক্র ভার্চুয়াল দুনিয়ায় একজন ব্যক্তির ইমেজ ও সামাজিক অবস্থানের ক্ষতি করছে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের জন্যও বিপদ ডেকে আনছে এই প্রতারকরা। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চলতি বছরের মাঝামাঝিতে এ ধরনের একটি চক্রের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে। ভয়ংকর এই চক্র টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলে সেখানে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও আপলোড করত। মাসে ১ থেকে ২ হাজার টাকা সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সাবস্ক্রাইবাররা এই গ্রুপের সদস্য হয়। আবার সিম ক্লোন করে প্রতারকরা এখন আর শুধু হুমকি-ধমকিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, তারা ভুক্তভোগীর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম আইডি হ্যাক করছে। এর মাধ্যমে মেসেজিং অ্যাপ আইএমও, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সেবাও নিজেদের দখলে নিচ্ছে তারা। আশঙ্কা করা হচ্ছে- শুধু ব্ল্যাকমেইলিং নয়, এই চক্রের সদস্যরা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গেও জড়িত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা কম অর্থ বিনিয়োগ করে এবং দ্রুত সময়ে বেশি অর্থ উপার্জনের নেশায় এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সিআইডির দেওয়া তথ্যে, এ ধরনের অপরাধে দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীসহ বেসরকারি চাকরিজীবীরা জড়িত।বিস্তারিত