গেলো বছর ৩ দেশের গণমাধ্যমকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্ল্যাকমেইল, বল প্রয়োগ, প্রপাগান্ডা ছড়ানো ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশসহ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের যেন চিন্তার শেষ নেই। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে-এমন কথা বলে ক্ষমতাসীন, বিরোধী দল আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেয়া হচ্ছে ভিসা নিষেধাজ্ঞা।
এমনকি গণমাধ্যমের ওপরও আসতে পারে এই খড়গ। তবে মুক্ত মতপ্রকাশের যুগে গণমাধ্যমে আদৌ নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায় কি না, এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঠিক কোন অভিযোগে কিংবা কোন মত প্রকাশ করলে তা পড়বে নিষেধাজ্ঞার আওতায় তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নজির রয়েছে। ২০২২ এ ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের (আইআরআইবি) ৬ কর্মকর্তা আর সাংবাদিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।
অভিযোগ, মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারকে হয়রানি এবং মৃত্যুর কারণ লুকানোর চেষ্টা করেছিল ওই গণমাধ্যম। জব্দ করা হয় ওই ৬ কর্মকর্তার বিদেশে থাকা সম্পদ। নিষিদ্ধ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ, বিনিয়োগ কিংবা ব্যবসা।
সরকারের পক্ষে প্রপাগান্ডার অভিযোগ তুলে সেই বছর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় ইরানের সংবাদমাধ্যম ফার্স ও তাসনিম নিউজ এজেন্সিকেও।
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুও পর মস্কোর শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন সরকার। যার মধ্যে ছিল ক্রেমলিন ভিত্তিক গণমাধ্যম চ্যানেল ওয়ান, রাশিয়া ওয়ান ও এনটিভি। এসব চ্যানেলে প্রতি বছর প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন দিতো যুক্তরাষ্ট্র। পরে যা বন্ধ করে দেয়া হয়।
একই বছর আলবেনিয়ার টিভি চ্যানেল ওরা নিউজ, আরটিভি ও চ্যানেল ওয়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ, ভুয়া সংবাদ প্রচারের ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া।