পাবনায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৮

পাবনায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৮

নিউজ ডেস্ক

মফস্বল ডেস্ক : আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনা শহরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা বাস টার্মিনালের মাসুম বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি পাবনা মহিলা কলেজের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান ও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। পাশাপাশি অফিস হওয়ায় রাত ১০টার দিকে মেহেদী গ্রুপের লোকজন সিফাতের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আট জন গুলিবিদ্ধ হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মেহেদী গ্রুপের।

মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের এবং ইফতে আরাফাত সিফাত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাফিউল ইসলাম সীমান্তের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, মেহেদী লোকজন নিয়ে পার্টি অফিসে যাওয়ার সময় সিফাত গ্রুপের লোকজন গুলি করে। এতে আটজন গুলিবিদ্ধ হন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ দাবি করেন, সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল। আমরা বারবার গিয়ে সমাধান করলেও কয়েক দিন পর আবারও তারা ঝামেলায় জড়ায়।

তবে আগে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পাবনা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিফাত। তার দাবি, আমি আমার অফিসের মানে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম। এসময় হঠাৎ ২০-৩০ জন লোক নিয়ে মেহেদী আমার ওপর হামলা করে গুলি করে। এতে আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।

শীর্ষ সংবাদ সারাদেশ