সরকার বিএনপির ৪৩ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, তারা (মামলার শিকার নেতাকর্মী) যদি ঢাকার দিকে আসতে থাকে এই বিচার ব্যবস্থার কোনো খোঁজখবর থাকবে? প্রয়োজনে এই ৪৩ লাখ নেতাকর্মী ঢাকার দিকে ধাবিত করা হবে। তারা এই সরকারের তখতে-তাউস ভেঙে চুরমার করে দেবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আয়োজিত যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। যুবদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
যুবদলের ইতিহাস তুলে ধরে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, যুবদল আগের চেয়ে অনেক সংগঠিত। তবুও কেন এই সরকারকে এখন পর্যন্ত কেনো নাড়া দিতে পারছি না?
তিনি বলেন, এই সমাবেশ সরকারের প্রতি স্পষ্ট বার্তা যে, তোমাদের আর সময় নাই। সবাই এই সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে মাঠে নেমেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে। আপনারা যে যায় বাড়িতে চলে যাবেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন বেগম জিয়া কারাগারে আটক আছেন। তিনি চিকিৎসা পাচ্ছে না। অনেক অনুনয়-বিনয় করেছি। কিন্তু এসব ওনাদের (সরকার) কানে যাচ্ছে না।
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় যুব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান রবকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।