অনলাইন ডেস্ক,
ইন্টারনেটের গতি নিয়ে ভোগান্তি কমছে না। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ইন্টারনেটের ধীরগতি সোমবারও গ্রাহকদের ভুগিয়েছে। সাবমেরিন কেবল সংস্কারের কারণে মঙ্গলবারও দেশজুড়ে গতি কম থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার মহাখালীর খাজা টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকটি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে শুরু হয় ভোগান্তি। সেই ক্ষত অনেকটাই কাটিয়ে উঠছিলেন ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয় ব্রডব্যান্ড গ্রাহকদের দুর্ভোগ। খাজা টাওয়ারে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) সঙ্গে যুক্ত ভূগর্ভস্থ কেবল কাটা পড়ায় ব্যান্ডউইথ সরবরাহ কমে গেছে। এতে দেশজুড়ে ইন্টারনেটে গতি কমেছে। এ নিয়ে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানিকে (ডেসকো) দায়ী করা হলেও তারা দায় নিচ্ছে না।
কেবলসংক্রান্ত এ সমস্যার সমাধান সোমবার রাতের মধ্যে হতে পারে বলে আশা করছেন ইন্টারনেট প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক। তিনি জানান, খাজা টাওয়ারের আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকসংক্রান্ত সমস্যার মোটামুটি সুরাহা হয়েছে। ডেটা সেবার আপলোডের কাজ খানিকটা বাকি আছে। এগুলো দ্রুত শেষ হবে।
খাজা টাওয়ারে ডেটাসেন্টার, আইসিএক্স আইআইজিসহ বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর ১৫তলা ভবনটি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সোমবার পর্যন্ত সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়নি। ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী জানান, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক কেবল পুনঃস্থাপনের কাজ চলছে। তাদের কারণে কোনো ইন্টারনেট কেবল কাটা পড়েনি।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস (বিএসসি) পিএলসি রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাবমেরিন কেবলের সক্ষমতা বাড়াতে কাজের জন্য দেশে মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার প্রায় ২০ ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা আংশিক বিঘ্নিত হবে।
এদিকে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান। বৈঠকে আইএসপিএবি সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভুইয়া, বাংলাদেশ আইআইজি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জুনায়েদ উপস্থিত ছিলেন।