অনলাইন ডেস্ক
গাজায় নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের শক্তিধর সব দেশের জনগণ যুদ্ধ বিরতি এবং ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৪ নভেম্বর) একযোগে লন্ডন, বার্লিন, প্যারিস, আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল এবং ওয়াশিংটনে মিছিল করেছেন বিক্ষোভকারীরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চাই’, ‘আমরা সবাই ফিলিস্তিনি’, ‘যুদ্ধবিরতি চাই’ এসব বলে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় জাতিগত বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার অপরাধে তারা ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভের সময় প্রদর্শিত ব্যানারে লেখা শব্দ আইন লঙ্ঘন করার সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে মিছিল করার আগে শহরের কেন্দ্রস্থলের কিছু অংশ অবরুদ্ধ করে বিশাল বিক্ষোভ করে। তবে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যুদ্ধবিরতির ঘোরতর বিরোধী, এমনকি গাজায় সহযোগিতা পাঠানোর বিপক্ষে কথা বলেছেন তিনি।
হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে ওয়াশিংটনের রাস্তায় নেমে মিছিল করেছেন, কেউ কেউ হোয়াইট হাউজ থেকে দূরে ফ্রিডম প্লাজায় জমায়েত হওয়ার আগে স্লোগান দিতে থাকেন ‘বাইডেন আপনি লুকাতে পারবেন না, আপনি গাজার গণহত্যার জন্য সম্মত হয়েছেন’।
এদিকে ফ্রান্সের প্যারিসে, ‘সহিংসতা বন্ধ করুন’ এবং ‘কিছু না করা, কিছুই না বলা অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সমান’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মিছিলে নামেন। এরই রেশ ধরে ফ্রান্স চলতি মাসের ৯ তারিখ গাজায় একটি আন্তর্জাতিক মানবিক সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
বার্লিনে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভে নামেন স্থানীয় জনগণ। প্রতীকী রক্ত মাখা হাত নিয়ে মিছিলে নামেন নারীরা। ফিলিস্তিন ইস্যুতে যুদ্ধবিরতির দাবিতে পতাকা হাতে রাস্তায় নামেন জর্ডানের বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে ফিলিস্তিনি ইস্যুতে আলোচনার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের তুরস্ক সফরের একদিন আগে ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারায় শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসের কাছে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ‘ইসরায়েল হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে আর এজন্য বাইডেন অর্থ প্রদান করে।’
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে, ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে নয় হাজারের মতো ফিলিস্তিনি এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন।