হামাস-ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে চার দিনের বিরতি চলছে। এর দ্বিতীয় দিনে হামাস ১৩ ইসরাইলিকে মুক্তি দেবে বলে জানা গেছে।
শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ১৩ ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এর দ্বিতীয় দিনেও একই সংখ্যক ইসরাইলিকে মুক্তি দেবে তারা।
আজকে যারা মুক্তি পাবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাদের তালিকা পেয়েছে। এসব ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে অবহিত করেছে তারা।
রেড ক্রস রাফাহ ক্রসিংয়ে মুক্তিপ্রাপ্তদের ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। এরপর তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য ইসরাইলের একটি বিমান ঘাঁটিতে নেয়া হবে। পরে হেলিকপ্টারে করে তাদের তেল আবিবের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস আছে, তখন ক্ষোভও রয়েছে, কারণ- মনে রাখতে হবে, এই চুক্তিটি যা আমরা আলোচনা করছি মাত্র চার দিনের জন্য।
এদিকে হামাস-ইসরাইলের মধ্যে চার দিনের এই বিরতির প্রথম দিনে ইসরাইলের কারাগার থেকে ‘৩৯ নারী ও শিশু’ মুক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে কাতার।
এর আগে ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ১২ থাই ও ১৩ ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা