প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে এখন বড় সমস্যা মূল্যস্ফীতি, বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে, তবে আমাদের রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে চৌদ্দ দলের বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিদেশে বসে যতই ষড়যন্ত্র করুক, মুরুব্বি দেশের সহযোগিতা নিক, কোনো লাভ হবে না। সন্ত্রাসী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এই নীতিতেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এগিয়ে যাবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে।
সমবায়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ধান-মাছ চাষ হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, সেখানে ছয়বিঘা জমি দিয়েছি আমি। সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে এখন শরীয়তপুরের সবজি। ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত অতিক্রম করেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
বিজয় ও স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎ করতেই ২৫ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপর থেকেই দেশটা শুধু পেছাতে থাকে। সরকার যে জনগণের জন্য কাজ করে, কেবল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই মানুষ এটা বুঝতে পারে।
গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে রাজি হননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শক্তিশালী দেশটি সেই সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বসার মতো দৈনতায় ছিলাম না কখনও।
বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানাতে দিলে কারও কারও নির্বাচনে জিততে কোনো সমস্যা নেই এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো, কিন্তু রাজি হইনি আমি। বে অব বেঙ্গলে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ঘাঁটি বানাবে। ভারত মহাসগাগরের এই শান্তিপূর্ণ জায়গাটার ওপর তাদের নজর। এখানে বেজ বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়? আমি এটা করতে দিচ্ছি না বলেই খারাপ,’ যোগ করেন তিনি।
চক্রান্ত এখনও চলমান রয়েছে। তবে জনগণ সঙ্গে রযেছে, তারাই সামনে চলার মূল শক্তি বলে গর্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।