নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হলে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদকে (বাবু) গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি তো বললাম, তদন্ত শেষ হোক। অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন। তদন্তের আগে আমার মনে হয় এগুলো বলা উচিত হবে না।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন আনার হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়েছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে একটি মামলা হয়েছে। আর তার মেয়ে ঢাকায় একটি মামলা করেছেন, তার নিরুদ্দেশ হওয়ার পরই। কাজেই এ ঘটনায় দুদেশই সম্পৃক্ত হয়ে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, তাদের (ভারত) দেশে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে, তাদের আসামিকে ফেরত নেওয়া, বন্দি করার দায়িত্ব তাদের। আমি যতটুকু জানি, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি আছে। সে ক্ষেত্রে হয়তো সেই সুবিধা ভারত সরকার পাবে। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই। তবে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সব কাজেই তারা সহযোগিতা করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও বলছি, আমরা সত্যের কাছাকাছি এসে গেছি। মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা আপনাদের কাছে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারব। মরদেহ নিশ্চিত হওয়ার জন্য যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের জবানবন্দি শুনেছি। তারা বলেছে, মরদেহ তারা খণ্ডবিখণ্ড করেছে। কোথায় রেখেছে, সেটা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন।