নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি শুরু

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি শুরু

বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি আজ (মঙ্গলবার) শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি চলমান রয়েছে।

এই মামলার শুনানিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি পরিচালনা করছেন। তার নেতৃত্বে চলমান শুনানির মাধ্যমে নির্বাচনী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হচ্ছে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর এই আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি সম্পন্ন হয়, যখন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।


প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছিল। হাইকোর্ট ২০০৪ সালে রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেছিল, কিন্তু এর বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিল করা হয় এবং ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট ত্রয়োদশ সংশোধনীর বৈধতা বাতিল করে রায় দেয়। এরপর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলোপসহ পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালে জাতীয় সংসদে পাস হয়।


সরকার পরিবর্তনের পর ২০১১ সালের রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। এর মধ্যে ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। এছাড়া, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছেন।


এছাড়া, গত বছরের ২৩ অক্টোবর জামায়াতের মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর রানীনগর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।


এদিকে, আদালত সূত্র জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই আপিল মামলার রায় জনস্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ এটি নির্বাচনী তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্কের নিষ্পত্তি করতে পারে। আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই শুনানি চলাকালে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের তরফ থেকে নিজেদের মতামত ও যুক্তি উপস্থাপন করা হবে, যা ভবিষ্যতে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আইন আদালত