জাবি ছাত্রকে সেলফি পরিবহনের বাসের হেলপার মারধর, ৭টি বাস আটক

জাবি ছাত্রকে সেলফি পরিবহনের বাসের হেলপার মারধর, ৭টি বাস আটক

শিক্ষা ডেস্ক

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রকে সেলফি পরিবহনের বাসের হেলপার মারধর করার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৭টি বাস আটকে রেখেছেন। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঘটে।


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাফায়েত, যিনি একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ৫১তম ব্যাচের ছাত্র, ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, ঢাকাগামী সেলফি পরিবহনের বাসটি যাত্রী কম থাকায় ড্রাইভার জানায় বাসটি আর ঢাকা যাবে না। এরপর ড্রাইভার বাসটি মাঝপথে যাত্রীদের নামানোর চেষ্টা করেন, তবে কিছু যাত্রী নামতে না চাইলে বাসের কর্মচারীরা তাদের ওপর সহিংস আচরণ শুরু করেন। সাফায়েত জানান, এ সময় তার গায়ে হাত ওঠানো হয়, যা তার সহপাঠীদের উপস্থিতিতে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় নবীনগর এলাকায় অন্য গাড়ির হেলপার-ড্রাইভাররাও যাত্রীদের ওপর চড়াও হন। এই সহিংসতায় এক যাত্রী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন এবং তাকে তাড়াতাড়ি এনাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। ঘটনার পর, সাফায়েতের সহপাঠীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে ৭টি বাস আটকে রাখেন।


ঘটনাটি নিয়ে সেলফি পরিবহনের এক অফিস স্টাফ বলেন, “আমরা শুনেছি, আমাদের একটি বাস এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়েছে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস আটক করেছে। আমরা এখন ঘটনার সঙ্গে জড়িত হেলপারকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।”


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। বৃহস্পতিবার বাস মালিকপক্ষ আসবে বলে আমি জেনেছি। তাদের সাথে আলোচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বাস মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ছাত্রদের দাবি, অভিযুক্ত বাস কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়।

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থায় নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের বিষয়টি পুনরায় আলোচনায় এসেছে এবং শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষা