তারেক রহমান: জাতীয় ঐক্য আমাদের শক্তি, বিভাজন আমাদের দুর্বলতা

তারেক রহমান: জাতীয় ঐক্য আমাদের শক্তি, বিভাজন আমাদের দুর্বলতা

জাতীয় ডেস্ক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘‘জাতীয় ঐক্য আমাদের শক্তি, আর বিভাজন আমাদের দুর্বলতা’’। তিনি দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কৃষকদের সংকটের বিষয় নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘‘এ বছর কৃষকরা আলু নিয়ে বড় ধরনের বিপাকে পড়েছেন। উৎপাদন খরচ ও কোল্ড স্টোরেজের খরচ মিলিয়ে এক কেজি আলুর দাম প্রায় ২৫ থেকে ২৭ টাকা। কিন্তু চাষিরা এখন অর্ধেক দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষকদের এবারের ক্ষতির পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে।’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘যদি একটি রাজনৈতিক দলের আবদার মেটাতে গণভোট করতে হয়, তাহলে রাষ্ট্রকে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে। এই সময়ে কৃষকদের জন্য গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’

তারেক রহমান রাজপথের সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘যারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য আহ্বান, দয়া করে তা করবেন না। জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের গণতান্ত্রিককামী জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘কিছু রাজনৈতিক দল বর্তমানে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পথে নানা বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। কিছু দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’’ এ সময় তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণের সামনে গিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

এরপর তারেক রহমান দেশের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাহতের তালিকায় রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে শত-শত দফা আলোচনা হলেও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়টি আলোচনায় জায়গা পায়নি।’’

আলোচনা সভায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংস্কার শুরু করেছিলেন, তবে তা সম্পন্ন করতে পারেননি।’’ তারেক রহমানকে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘আপনার বাবা-মা যেখানে শেষ করেছিলেন, আপনি সেখান থেকে শুরু করে সামনে এগিয়ে যান, আমরা সাহায্য করব।’’

এ সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন: জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং সাত্তার পাটোয়ারী।

রাজনীতি