ফরিদপুরে জুলাই আন্দোলন মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে জুলাই আন্দোলন মামলার আসামি গ্রেপ্তার

 

জেলা প্রতিনিধি

ফরিদপুরে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র ও জনতার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ফরিদপুরের সভাপতি শেখ ফয়েজ আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর শহরের আলীপুর এলাকায় তাকে আটক করা হয় এবং পরে কোতয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শেখ ফয়েজ আহম্মেদ ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাসিন্দা এবং ফরিদপুর সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান। স্থানীয় ছাত্রনেতারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি সরাসরি আন্দোলনের বিরোধিতা করেন এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ছাত্র ও জনতার ওপর হামলায় অংশ নেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। চলতি নভেম্বর মাসে ফরিদপুরে ফিরে আসার পর কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন।

গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানা বলেন, “ফরিদপুরের তথাকথিত সাংবাদিক শেখ ফয়েজ জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলার আসামি। আমরা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।”

ফরিদপুর পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, “ফয়েজকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল কোতয়ালী থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে তাকে আলীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

শেখ ফয়েজের গ্রেপ্তারের ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও নিরাপত্তা জোরদার করার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে থানায় তাকে হস্তান্তরের পর আইনানুগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগসমূহ তদন্ত প্রক্রিয়ায় থাকছে, এবং আদালতের নির্দেশক্রমে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফরিদপুরের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাচেষ্টা ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে। এছাড়া, ভবিষ্যতে এই ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে শহরে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

শেখ ফয়েজ আহম্মেদের গ্রেপ্তার ফরিদপুরের রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর তার ফেরার ঘটনা এবং তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার স্থানীয় জনগণের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সচেতনতা ও প্রশাসনের কার্যক্রমে আস্থা বৃদ্ধি করবে।

আইন আদালত