নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫: চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী-বায়েজিদ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় তিনি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জিয়াউদ্দীনের হাতে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১৯২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট। এ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থী মনোনয়ন এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। বিএনপির প্রার্থী মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তারা নির্বাচন আচরণবিধি ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, “তারেক রহমান যেদিন বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দিয়েছেন, ওই দিন থেকেই নির্বাচনী মাঠে যে অস্থিতিশীলতা ছিল, সেটি অনেকটা কাটতে শুরু করেছে। তার দেশে ফেরার পর থেকে নির্বাচনের দিকে পরিস্থিতি এগিয়ে যাচ্ছে। ১২ ফেব্রুয়ারি একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক শক্তি পুনরুদ্ধারের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বিএনপির ইশতেহারের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় সমস্যা ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে আলাদা ইশতেহার প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
এদিকে, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী পরিবর্তন ও ঘোষণা নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে প্রার্থী এখনও ঘোষণা করা হয়নি। শনিবার, সীতাকুণ্ড আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। হালিশহর-ডবলমুরিং আসনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বন্দর-পতেঙ্গা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়, এবং ডবলমুরিং আসনে প্রার্থী করা হয়েছে বিএনপির প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানকে।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে, এবং ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে। ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে, এবং ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭:৩০ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চলবে।


