প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ঢাকা মহানগর আ’লীগের কমিটিতে স্থান পাবেন না কাউন্সিলররা

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অংশের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন না দলীয় কাউন্সিলররা। থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে স্থান পাওয়ার সুযোগ থাকলেও শীর্ষ নেতা হতে পারবেন না তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাকা মহানগরীর দুই অংশে সদ্য নির্বাচিত দলের কাউন্সিলরদের জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং কাউন্সিলর হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালনের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে দলের সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সিটি করপোরেশনের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মহানগর কমিটিতে না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সভাপতি। জনগণের সেবায় কাউন্সিলরদের বেশি সময় দেওয়ার জন্যই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ বজলুর রহমান জানান, থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে কাউন্সিলররা বিভিন্ন পদে আসতে পারবেন। তবে এই দুই স্তরের শীর্ষ পদে (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) তারা আসতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যারা ঢাকা মহানগর, মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন, তারা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পাবেন না। একইভাবে যারা মেয়র ও কাউন্সিলর হবেন, তারা দলের থানা ও ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাবেন না। কিন্তু ওই নির্বাচনে অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যতিক্রম ঘটেছিল। নির্বাচনের পরেও অনেক কাউন্সিলর থানা বা ওয়ার্ড পর্যায়ের শীর্ষ পদ তথা সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। সূত্র জানায়, এবার অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দুই অংশের শীর্ষ নেতাদের এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীও। তিনি বলেন, ‘মহানগরের কমিটিতে কাউন্সিলরদের না রাখতে, থানা ও ওয়ার্ডের শীর্ষ পদ না দিতে দলের সভাপতি নির্দেশনা দিয়েছেন।’ উলেস্নখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অংশের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দিনই দুই অংশেই শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নাম ঘোষণাসহ দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে উত্তর অংশে সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হন এস এ মান্নান কচি। দক্ষিণ অংশে সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হন হুমায়ুন কবীর। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য সম্প্রতি দুই অংশের নেতাদের তাগাদা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপরই কমিটি গঠনে তোড়জোড় শুরু হয়। দুই অংশের নেতারাই নিজেদের মধ্যে বৈঠক ও আলোচনার পাশাপাশি দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছেও পরামর্শ নিতে যান। এরই একপর্যায়ে তাদের এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ