সারা বিশ্বে করোনা আতঙ্কে। এই ভাইরাস আবার ব্ল্যাক ফাংগাস নামে নতুন রোগের জন্ম দিয়েছে। করোনাকালে নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস । করোনা থেকে সেরে উঠলেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কবলে পড়েছেন অনেকে। বিশেষ করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া কালীন যাদের স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে বা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের মধ্যে এই রোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে এই রোগ।
একটি ছত্রাক থেকে এই ইনফেকশন হচ্ছে। অপরিচ্ছন্ন হাসপাতাল থেকেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়াতে পারে। এর জন্য প্রথম থেকেই প্রয়োজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। মুখের ভিতরও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। ডেন্টিস্টদের মতে, মুখের ভিতর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এই ধরনের ইনফেকশন এড়ানো সম্ভব।
চোখের চারপাশে ব্যথা, নাক বন্ধ, মাথা যন্ত্রণা এই উপসর্গগুলো ছাড়াও মুখের ভিতর কিছু সমস্যা দেখা যেতে পারে। আর তাই চিকিৎসকরা প্রথম থেকেই মুখের ভিতরের যত্ন নিতে বলছেন।
করোনায় অসুস্থ হওয়া কালীন স্টেরয়েড এবং বিভিন্ন রকমের ওষুধের কারণে মুখের ব্যাকটেরিয়া পরিমাণ বৃদ্ধি হতে থাকে। সেই জন্য দিনে দু থেকে তিনবার করে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দিচ্ছেন ডেন্টিস্টরা। প্রয়োজনে ওরাল ক্লিন আপ ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এলে পুরানো ব্রাশ পরিবর্তন করে নতুন দাঁত মাজার ব্রাশ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে দিনে বেশ কয়েকবার মুখ ধুতে হবে।করোনা থেকে যারা সেরে উঠেছেন তারা একই জায়গায় পরিবারের অন্যদের ব্রাশের সঙ্গে নিজের ব্রাশ রাখবেন না। এর পাশাপাশি স্ক্র্যাপার দিয়ে জিহবা পরিষ্কার করতে হবে।