নিজস্ব প্রতিবেদক
ওইসিডির প্রধান স্টিফেন কারসিলো বলেন, এই মহামারি সংকট চলার সময় হারিয়ে যাওয়া অনেক চাকরি আর পুনরুদ্ধার করা যাবে না।
২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোর বেকারত্বের হার কমে হয়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে এখনো তা করোনা–পূর্ববর্তী অবস্থার চেয়ে ১ শতাংশ কম। ওইসিডিজুড়ে যে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ কাজের বাইরে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮০ লাখ বেকার এবং ১ কোটি ৪০ লাখ নিষ্ক্রিয় রয়েছেন বলে মনে করা হয়।
ওইসিডি মনে করে না ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কর্মসংস্থান পরিস্থিতি করোনা–পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরবে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো দ্রুত উন্নতি করতে পারে। কারণ, এই সংকট তারা উন্নত দেশের চেয়ে ভালোভাবে পরিচালনা করেছে। এই টেকসই বেকারত্বের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে বঞ্চিত, দুর্বল, নারী ও স্বল্প দক্ষ শ্রমিকদের ওপর, যাঁরা মহামারির এই সময়ে সবচেয়ে বেশি কষ্টের শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমজীবী জনসংখ্যা দীর্ঘদিন ধরে কাজে আছে, এমন কর্মীদের চেয়ে বেশি বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করছে। ওইসিডির কর্মসংস্থান, শ্রম ও সামাজিকবিষয়ক পরিচালক স্টিফানো স্কারপেটা বলেন, চাকরি ও মজুরির ক্ষেত্রে তরুণদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে এই দাগ থেকে যেতে পারে। ওইসিডির মতে, তরুণদের ওপর প্রভাব অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের চেয়ে কমপক্ষে দ্বিগুণ হয়েছে। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও স্পেনের তরুণেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।